মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অবরুদ্ধ হচ্ছে চট্টগ্রামের ১০ নম্বর ওয়ার্ড

Bangladesh: Protecting detainees from COVID-19 | ICRC


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে চট্টগ্রামের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড ২১ দিনের জন্য অবরুদ্ধ হচ্ছে।

রোববার নগর ভবনে সিটি করপোরেশনের সাথে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কমিটি দেশের যেসব এলাকা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে চট্টগ্রামের কয়েকটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডও রয়েছে।

প্রতি এক লাখ জনসংখ্যায় গত ১৪ দিনে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন এমন এলাকাগুলোকেই ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আখতার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে আমরা শুরুতেই ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ওয়ার্ডগুলোকে লকডাউনের প্রক্রিয়ায় আনা হবে।”

তিনি বলেন, “লকডাউন চলাকালীন সময়ে ওই ওয়ার্ডে যানবাহন, জন চলাচল, দোকানপাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসাসহ অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেয়া হবে। সকল সুবিধা তদারকির জন্য প্রশাসনের উদোগে একটি কমিটি ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তা তদারক করবেন।”

চট্টগ্রামের যেসব এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো হল- বন্দর এলাকার ৩৭ নম্বর (উত্তর মধ্যম হালিশহর), ৩৮ নম্বর (দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর), পতেঙ্গা থানাধীন ৩৯ নম্বর (দক্ষিণ হালিশহর), কোতয়ালী থানাধীন ১৬ নম্বর (চকবাজার), ২০ নম্বর (দেওয়ানবাজার), ২১ নম্বর (জামালখান), ২২ নম্বর (এনায়েত বাজার), খুলশী থানাধীন ১৪ নম্বর (লালখান বাজার) এবং হালিশহর থানাধীন ২৬ নম্বর (উত্তর হালিশহর) ওয়ার্ড।

রোববার অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, এ পদক্ষেপ যথাযথভাবে কার্যকর হলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় শতভাগ সফল হওয়া যাবে। জীবন ও জীবিকার সমন্বয়ে এ মহামারী প্রতিরোধে ইতিবাচক ফল নিশ্চিত করতে আইন প্রযোগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

“লকডাউন চলাকালীন সময়ে অধিবাসীরা নিজের এলাকায় থাকবেন এবং বাইরের কেউ ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না। যারা ঘরে থাকবে তাদের প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মহল্লাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, ইনফেন্ট্রি রেজিমেন্টের সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments